ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ১০জন ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা হামলায় উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার ৪৫০ জনে পৌঁছেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মেধাত আব্বাস জানিয়েছেন, ইসরাইলের নতুন করে স্থল আক্রমণের পর প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ থাকা এই এলাকায় বৃহস্পতিবারের হামলায় আরও ১৬০ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “আগুন নেভানোর পানি নেই। কিছুই নেই। এটা একটা গণহত্যা। বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।

অবশ্য যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলাটি করা হয়েছে। তাদের দাবি, যোদ্ধারা জাবালিয়ার আবু হুসেন স্কুলের মধ্যে থেকে কাজ করছিল। তবে এই স্কুলটি বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে কাজ করছে।

তবে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত স্কুলকে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে হামাস। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, এই ধরনের অভিযোগগুলো “মিথ্যা ছাড়া কিছুই নয়”।